ব্লুটুথ হেডফোন প্রাইস ইন বাংলাদেশ বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের হেডফোনের মধ্যে কিছু হেডফোন ব্যপক জনপ্ৰিয়তা লাভ করেছে তার মধ্যে ব্লুটুথ হেডফোন এগিয়ে কারন ওয়্যারলেস ব্লুটুথ এর সাহায্যে এটি শব্দ প্রদান করতে পারে। তাই বাংলাদেশে এটিকে সকলেই ওয়্যারলেস হেডফোন বলে থাকে। যদিও এটি ওয়্যারলেস সংযোগের জন্য ব্লুটুথ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তবে কিছু কিছু নুতন গেমিং ওয়্যারলেস হেডফোন ওয়াইফাই ব্যবহার করে তবে এগুলোর সংখ্যা কম।
বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্লুটুথ হেডফোন গুলোর রেঞ্জ খুব ভালো এবং উন্নত মানের হয়ে থাকে।
৩০ থেকে ৪০ ফুট পর্যন্ত দূরত্ব থেকে ব্লুটুথ হেডফোন গুলো সক্রিয় ভাবে পরিচালিত হয়।
এগুলোর সাউন্ড কোয়ালিটি খুবই অসাধারন ও মনোমুগ্ধকর। এছাড়াও কলে কথা বলার জন্য এগুলোতে কোয়ালিটি সম্পন্ন মাউথ স্পীকারও যুক্ত থাকে।
তাই কথা বলার সময় কলের বিপরীত মানুষটি সহজেই স্পষ্টভাবে সকল কথা বুজতে ও শুনতে পারে।
ব্লুটুথ হেডফোন এর সুবিধাগুলো কি?
- ব্লুটুথ হেডফোন হ্যান্ডস-ফ্রি কারন এটিতে কোন তার নেই ফলে দুই হাত কাজের জন্য বাধাপ্রাপ্ত হয় না।
- আর তার নেই বলে তার জড়িয়ে বা পেঁচিয়ে যায় না ফলে ব্যবহার করতে অনেক সুবিধাজনক ও আরামদায়ক।
- এটি সহজেই বহন করা যায়।
- যে কোন ডিভাইসেই এটি সাপোর্ট করে ফলে নিদৃস্ট কোন পোর্টের উপর নির্ভর করতে হয় না।
- বিশেষ করে গেমিংয়ের জন্য এটি অনেক উপযোগী হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে কত ধরণের ব্লুটুথ হেডফোন পাওয়া যায়?
বাংলাদেশে অনেক ধরণেরই ব্লুটুথ হেডফোন রয়েছে এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
- ইয়ারবার্ড ব্লুটুথ হেডফোনঃ এগুলো সাধারণত খুবই ছোট হয় এবং কানের ভিতর আটকে থাকে ফলে বাইরের কোন শব্দ কানে সহজে প্রবেশ করে না। তবে কানের সাইজ অনুযায়ী এ ধরনের হেডফোন কেনা উচিত তা না হলে ভালভাবে এটি কানে আটকে থাকবে না।
- নেকব্যান্ড ব্লুটুথ হেডফোনঃ এটির অতিরিক্ত ফিচারগুলো ঘাড়ের উপর থাকে ফলে অনেক উন্নত মানের সুবিধা পাওয়া যায় যেমন নয়েস ক্যান্সল্যাশন , অতিরিক্ত ব্যাকাপ টাইম ইত্যাদি।
- গেমিং ব্লুটুথ হেডফোনঃ এই হেডফোন গুলো বড় সাইজের হয় এবং প্যাড থাকে আর ওভার-দি-ইয়ার স্টাইলের হয়ে থাকে। ফলে গেম খেলার সময় এটি কোন ধরনের সমস্যা তৈরী করে না।
ব্লুটুথ হেডফোন প্রাইস ইন বাংলাদেশ?
বাংলাদেশে ব্লুটুথ হেডফোনের দাম শুরু ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকার ও বেশি দামে পাওয়া যায়।
এগুলোতে ব্লুটুথ এর সর্বাধুনিক ভার্শন রয়েছে ফলে এখন বেশি দূর থেকেও এই হেডফোন চলতে সক্ষম।
৫০ মিলি এম্পিয়ার এরও বেশি পর্যন্ত ব্যাটারি আছে এই ব্লুটুথ হেডফোনে যা একটানা ৬ ঘন্টা বা তার চেয়েও বেশি ব্যাকআপ প্রদান করে।
এছাড়াও বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ব্লুটুথ হেডফোন পাওয়া যায়।
তবে কম দামের ভিতর মিনি ব্লুটুথ হেডফোন ভাল যদিও এগুলো বেশি টেকসই হয় না বা ব্যাটারি খুব ভাল নয় তবে দাম অনুযায়ী এগুলো ভাল।
আর ব্লুটুথ হেডফোনের দাম নির্ভর করে এগুলোর ব্র্যান্ড, সাউন্ড কোয়ালিটি, স্টাইল এবং আধুনিক প্রযুক্তির উপর।
ট্রু ওয়্যারলেস হেডফোন কি?
ট্রু ওয়্যারলেস হেডফোন মূলত ব্লুটুথ প্রযুক্তির সাহায্যে পরিচালিত হয়ে থাকে।
এটিকে সহজে বহন করার জন্য কেসিং থাকে এবং কেসিং এর মধ্যে চার্জিং সিস্টেমও যুক্ত থাকে।
আকারে এগুলো অনেকটাই ছোট হয় ফলে জামা বা প্যান্টের পকেটেও এটি সহজেই রাখা যায়।
ট্রু ওয়্যারলেস হেডফোন গুলোর অডিও কোয়ালিটি ভাল মানের হয়।
উপরে যে সকল হেডফোনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এ সকল হেডফোন কম দামের মধ্যে সবচেয়ে ভালো হেডফোন। বর্তমান বাজারে এ সকল হেডফোন প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছে।